আসসালাম ওয়ালাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তু হলো এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব ইনশাল্লাহ। এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ গুলো কি কি এই সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। এজন্য আমার এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাই সুস্বাগতম। আমি আজ আপনাদেরকেএইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখবো। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ গুলো কি কি ?

এইডস কী

এইডস (Aids) হল একটি মরণব্যাধি। এইডস এইচআইভি নামক একপ্রকার ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। এইচআইভি ভাইরাস ডে খুবই ভয়ঙ্কর জাতের ভাইরাস। এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তারপরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে আস্তে আস্তে নষ্ট করে ফেলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি কোন সংক্রামক রোগও হয় তাহলেও রোগী মৃত্যুর দিকে ছুটে চলে। যেহেতু এইডস (Aids) মরণব্যাধি নামে পরিচিত এজন্য প্রায় সকলেরই মাঝে এর ব্যাপক ভীতি কাজ করে।

এইডস (Aids) রোগকে আবার মারাত্মক যৌনবাহিত সংক্রামক রোগ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।আর এই কারণে মানুষের ভেতরে ব্যাপক অজ্ঞতা কাজ করে। যার কারণে এইডস (Aids) তথা এইচ আই ভি বহনকারী ব্যক্তিকে সামাজিকভাবেও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ বহন করতে হয়। এইডস (Aids) রোগিদের জীবন দিতে হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে এবং ঘৃণা করার কারণে অমানবিকতার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হচ্ছে এইডস (Aids) রোগটি ছোয়াছে নয়।

এইডস এর পূর্ণরূপ কি – aids full meaning – full form of aids

এইডস (Aids) খুবই মারাত্মক এবং প্রাণনাশক একটি রোগ। এইডস (Aids) কে ঘাতক ব্যাধি নামেও অবহিত করা হয়। অনেকেই এইডস (Aids) এর পূর্ণরূপ জানতে চান । আজ আমরা এইডস এর পূর্ণরূপ কি বা aids full meaning জানবো।

Aids full meaning বা full form of aids

  • A = Acquired
  • I = Immune
  • D = Deficiency
  • S = Syndrome

Full form of HIV

  • H = Human
  • I = Immunodeficiency
  • V = Virus

এইডস কিভাবে হয় – এইডস কিভাবে ছড়ায়

এইডস (Aids) প্রাণঘাতী ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এইডস (Aids) রোগটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কিভাবে এইডস (Aids) ছড়িয়ে থাকে। এইডস কিভাবে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইডস সাধারণত এইচআইভি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। আর এই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি এর কাছ থেকে নানা উপায়ে এইডস হতে পারে।

প্রথমত এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি যৌন সম্পর্ক করে তাহলে এই ভাইরাসটি খুব সহজেই অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও এই ভাইরাসটি আরো নানা কারণে ছড়িয়ে যেতে পারে যেমন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীরে ব্যবহৃত ইনজেকশনটি যদি কোন সুস্থ ব্যক্তির ওপর ওই একই ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় তাহলে এইচআইভি ভাইরাসটি তার শরীরে চলে আসতে পারে। এজন্য অবশ্যই ইনজেকশন নেওয়ার সময় নতুন সিরিজ এবং সুচ ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও এইচআইভি পজিটিভ কোন নারীর যদি সন্তান প্রসব করে তাহলে এই ভাইরাসটি তার সন্তানের শরীরেও হতে পারে। যখন মা তার সন্তানকে বুকের দুধ পান করাবেন তখন এই দুধ বাহক হিসেবে তার সন্তানের শরীরে প্রবেশ করবে। এছাড়াও যখন এইডস রোগীর শরীরে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ কিংবা অস্ত্র পাচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি গুলো যদি কোন অসাবধানতা বা ভুল করে সুস্থ শরীরের ব্যবহার করে তাহলে সে সুস্থ ব্যক্তির দেহেও এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে যায়।

এইডস কত দিন পর ধরা পরে – এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কত মাসে

প্রায়ই স্কুলে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় এইডসের উৎপত্তিস্থল এবং এইডস কতদিন পর ধরা পড়ে এই প্রশ্নটি পরীক্ষাতে আসে। এছাড়াও অনেক সময় চাকরির পরীক্ষাতেও আসতে দেখা যায় যে এইডস কত দিন পর ধরা পড়ে প্রশ্নটি। যারা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না তারা নানাভাবে সার্চ দিয়ে এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কত মাসে খুঁজে থাকেন। তাই আজ আমরা এইডস কত দিন পর ধরা পরে এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য। তাহলে চলুন দেখে নেই এইডস কত দিন পর ধরা পরে।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কেন হয়? ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

এইডস কত দিন পর ধরা পরে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হলো যদি কোন ব্যক্তির শরীরে এইচআইভি পজিটিভ হয় তাহলে এইচআইভি সংক্রমিত হওয়ার প্রায় দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এইডস রোগের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে। যখন এইডস রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া শুরু হবে তখন তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে না হলে এর বিপদ আরো বেড়ে যাবে।

এইডস কত দিন পর ধরা পরে এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর আপনি জানতে পারলেন । তার সাথে এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কত মাসে সেই সম্পর্কে জানতে পারলেন। এখন আপনাকে আরো জানানো হবে এইডস হলে কি কি লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাবে আপনার শরীরে। অর্থাৎ এইডস এর লক্ষণ এবং এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ

যদি কোন ব্যক্তির এইডস এর এইচআইভি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন তাহলে আপনি কি করে জানবেন বা বুঝবেন যে আপনার এইডস হয়েছে। এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কিছু বিশেষ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। আর এই প্রকাশিত লক্ষণ গুলোর মাধ্যমেই আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার শরীরে এইচআইভি ভাইরাসটি প্রবেশ করেছে। নিচে এইডস এর লক্ষণ ও কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

যখন কোন ব্যক্তির শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে তখন সেই ব্যক্তির শরীরে অধিক হারে ক্লান্তিবোধ দেখা দিয়ে থাকে, এছাড়াও শরীরে ঘন ঘন জ্বর থাকবে, মাথা ব্যথা হওয়া থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব থাকবে তার সাথে ডায়রিয়া হতে পারে, সাথে শুকনো কাশি হওয়া শুরু করবে আর এই কাশি টি কয়েক সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে মাস এবং পরে স্থায়ীভাবে থাকতে পারে।

প্রায় সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব হবে এবং তার পাশাপাশি শরীরের নানা অংশের হালকা লাল বর্ণের চুলকানিযুক্ত ফুশকুরি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় যার কারণে যখন কোন সংক্রমিত রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগটি দেহে স্থায়ীভাবে কিংবা নিরাময় হতে অনেক সময় লাগে। এছাড়াও আরো নানারকম লক্ষণগুলো শরীরে প্রকাশ পাওয়া শুরু করে।

এইডস হলে করনীয়

যেহেতু এইডস খুবই ভয়ঙ্কর একটি রোগ যার কারণে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে সেহেতু এইডস হলে করনীয় গুলো কি কি সেই সম্পর্কে প্রত্যেকেরই ধারণা থাকা আবশ্যক। এইডস হলে করনীয় কি কি এই সম্পর্কে অবগত থাকলে এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীকে যতটা সম্ভব বাঁচানো যাবে। এজন্য আমাদের সকলকেই অবগত হতে হবে এইডস হলে করনীয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এইডস হলে করণীয় গুলো কি কি এবং এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো।

যখন কোন ব্যক্তির এইডস রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়া শুরু করে এবং সে বুঝতে পারে তার শরীরের ধীরে ধীরে অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে এবং তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এমতাবস্থায় রোগীকে তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের রোগীকে চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে নানা রকম সহযোগিতা করতে হবে। এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক সময় নানারকম ভ্রান্ত ধারণার কারণে অবহেলার শিকার হয়ে থাকে।

যেমন এইডস (Aids) রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কোন জিনিসপত্র গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক হয়ে থাকেন। যার কারণে আক্রান্ত ব্যাগি মানসিকভাবে বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকে। যেহেতু এইডস (Aids) রোগটি ছোঁয়াচে নয় তবুও অনেকেই এই রোগটিকে ছোঁয়াচে ভেবে রোগের থেকে দূরে দূরে অবস্থান করে এবং সামাজিকভাবে তাকে বঞ্চিত করে থাকে যেটি করা একেবারেই ঠিক নয়।

এইডস (Aids) রোগটি যেহেতু সংক্রমিত হয় না সেহেতু এটি রোগীর সংস্পর্শে এলে অন্য কেউ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এইডস (Aids) আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ইনজেকশন কিংবা সুচ কোন সুস্থ ব্যক্তির শরীরের প্রবেশ না করা হয়। কারণ ব্যবহৃত এই ইনজেকশন কিংবা সুচ এর মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও এইডস (Aids) আক্রান্ত ব্যক্তি কোন ভাবেই কারো সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে না।

শেষ কথা (এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি জেনে নিন)

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন এইডস কী? Aids Symptoms – এইডস এর লক্ষণ ও কারণ গুলো কি কি ? আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আরো জানানোর চেষ্টা করেছি এইডস কত দিন পর ধরা পরে, এইডস এর লক্ষণ, এইডস হলে করনীয় এবং এইডস এর পূর্ণরূপ কি। আপনার কাছে যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন

এবং আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর এই ধরনের আরও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই আশা রেখে শেষ করছি আজ এই পর্যন্তই খোদা হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *