আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই এখন এই ডায়াবেটিস রোগের শিকার হচ্ছে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কেন হয়? ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এবং ডায়াবেটিসের নানা দিক সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই যদি ডায়াবেটিস কেন হয়? ডায়াবেটিস এর লক্ষণ জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কি কি কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে? ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি? ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় সমূহ গুলো কি কি এছাড়াও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি যদি আপনি পড়েন তাহলে ডায়াবেটিসের সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাই সকল তথ্য জানতে মনোযোগ দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ করছি।

ভূমিকা

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে এই ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এর একটি জরিপে দেখা গেছে যে বাংলাদেশের মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর এদের মধ্যে আক্রান্ত রোগীরা প্রায় 20 থেকে 35 বছর সংখ্যা বেশি। যদি এখনই এ রোগের সুচিকিৎসা না করা হয় তাহলে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে।

আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব ডায়াবেটিস কেন হয়? ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, কি কি কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে, ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়, ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়, ডায়াবেটিস এর চিকিৎসাসহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই।

ডায়াবেটিস কেন হয়

ডায়াবেটিস হল শরীরের জন্য খুবই গুরুতর অবস্থা। ডায়াবেটিস নানা কারণে হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো যখন আমাদের শরীর থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় অথবা তৈরিকৃত ইনসুলিন দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারেনা আর এই কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায়। তখন আমরা একে ডায়াবেটিস বলে থাকি।

সাধারণত ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলোকে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডায়াবেটিস জনিত ইনসুলিনের মানের তারতম্যের কারণে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রার তারতম্য দেখা দেয়। যার কারণে আমাদের শরীরে নানা রকম অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়ে থাকে।ডায়াবেটিস ছাড়াও এ রোগের অন্য আরো নাম রয়েছে যেমন: বহুমূত্র রোগ, মধুমেহ রোগ ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

ডায়াবেটিস এর ধরন অনুযায়ী প্রকাশ করা লক্ষণ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়ে থাকে যথা টাইপ ১ এবং টাইপ ২। আর এইসব ধরনের রোগীদের লক্ষণগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। যার মধ্যে ডায়াবেটিস টাইপ ১ এর সংক্রমণ খুব দ্রুত ঘটে থাকে এবং নানা রকম উপসর্গ হঠাৎ দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস টাইপ ১ দেখা দেওয়া উপসর্গ গুলোর মাঝে কয়েকটি নিচে দেওয়া হলো।

ডায়াবেটিস টাইপ ১ এর লক্ষণ:

অতিরিক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের প্রবণতা পাওয়া, প্রচন্ড হারে ক্ষুধা অনুভূত হওয়া, তীব্র আকারের পনির তৃষ্ণা পাওয়া যার সাথে সাথে গলা সুকিয়ে যাওয়া, শরীরে অধিকহারে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি দেখা দেওয়া, শরীরের ওজন অধিক হারে কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, কোন কাজ করতে করতে অস্বাভাকি ভাবে বিরক্তি বোধ করা, অপ্রীতিকর গন্ধ নাকে অনুভূত হওয়া, পেটে ব্যথা করা এবং বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া ইত্যাদি এগুলো ছাড়াও আরও নানারকম লক্ষণ গুলো আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিস টাইপ ২ এর লক্ষণ:

ডায়াবেটিস টাইপ ২ এর লক্ষণ গুলো ডায়াবেটিস টাইপ ১ এর লক্ষণ গুলির মতোই প্রায় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর সূত্রপাত ধীরে ধীরে প্রকাশ পেয়ে থাকে। আর এই উপসর্গ বা লক্ষণগুলি ঠিক ভাবে প্রকাশ পায় না যার ফলে অনেকেই ভুলবশত সতর্ক হতে পারে না। নিচে ডায়াবেটিস টাইপ ২ এর লক্ষণগুলো দেওয়া হলো:

শরীরে যদি কোন ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় তাহলে তা নিরাময় হতে অনেক সময় লেগে যায় এবং ধীরগতিতে নিরাময় হয়ে থাকে, তীব্র আকারের পনির তৃষ্ণা পাওয়া যার সাথে সাথে গলা সুকিয়ে যাওয়া,অতিরিক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের প্রবণতা পাওয়া, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোতে ঝিমঝিম অনুভূত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ সৃষ্টি হওয়া, অধিকারে মাথাব্যথা দেখা দেওয়া,অপ্রীতিকর গন্ধ নাকে অনুভূত হওয়া, শরীরের নানা স্থানে চুলকানি সৃষ্টি হওয়া, প্রচন্ড হারে ক্ষুধা অনুভূত হওয়া, শরীরের ওজন অধিক হারে কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি ।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মানতে হবে কিছু দিক নির্দেশনা। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য নয় কিন্তু একে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই শর্করার মাত্রাকে বৃদ্ধি পাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে শাকসবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার। তাই শাকসবজি ও প্রোটিন জাতীয় হোক খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে কারণ এ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে।

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় – দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে শুধু শরীরের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা নয় বরং মানতে হবে কিছু দিক নির্দেশনা তার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত বাইরের ফাস্টফুড বা অধিক চর্বি ও লবণযুক্ত খাবার পরিহার করে চলতে হবে। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এবং চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবারই খাওয়া যাবেনা আর এই খাবারগুলোর কারণেই ডায়াবেটিসের হার বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নানারকম নিয়ম-কানুন বরাদ্দ থাকে। আর এই নিয়ম-কানুন গুলো না মেনে চললে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। যেহেতু ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য নয় তবে এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব। আর এজন্য আমাদের খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী তার ডায়াবেটিস খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ডায়াবেটিস রোগীদের সর্বপ্রথম শরীরের শর্করার যোগান দিতে সহায়মা করে এমন জাতীয় খাবারের প্রতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের ভাব স্বল্প পরিমাণে খেতে হবে। এর কারণ হচ্ছে ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ । তাই আপনি ইচ্ছা করলে ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে পারেন। রুটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ফলমূল ও শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। তার পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে করোলা। যদি আপনি করলাটি নিয়মিত ঠিকমতো খেতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। করলা নানাভাবে আপনি খেতে পারেন এর মধ্যে আপনি করলা দিয়ে নানা রকম তরকারির মাধ্যমেও খেতে পারেন এছাড়া বিচিগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে করোলার রসগুলো বের করে নিয়ে এর সাথে পানি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। খালি পেটে করলার রস খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা দুধ এবং দুধ দ্বারা তৈরিকৃত খাদ্য থাকতে হবে। যেহেতু দুধ ও ডিম দুটোই সুষম খাদ্য যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই এ জাতীয় খাদ্য খেতে হবে। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট অথবা শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ পানি আমাদের শরীরকে ডি হাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এজন্য পানি বেশি পরিমাণে পান করতে হবে।

কি কি কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে?

ডায়াবেটিস নানা কারণে হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো যখন আমাদের শরীর থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় অথবা তৈরিকৃত ইনসুলিন দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারেনা আর এই কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায়। তখন আমরা একে ডায়াবেটিস বলে থাকি।সাধারণত ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলোকে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

ডায়াবেটিস জনিত ইনসুলিনের মানের উপর-নিচের কারণে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রার তারতম্য দেখা দেয়। যার কারণে আমাদের শরীরে নানা রকম অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়ে থাকে। শরীরে যদি কোন ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় তাহলে তা নিরাময় হতে অনেক সময় লেগে যায় এবং ধীরগতিতে নিরাময় হয়ে থাকে, তীব্র আকারের পনির তৃষ্ণা পাওয়া। 

শরীরে অধিকহারে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি দেখা দেওয়া, শরীরের ওজন অধিক হারে কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি।নানা কারণে শরীরে ডায়াবেটিসে দেখা দিতে পারে এর মধ্যে হচ্ছে বেশি পরিমাণে মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে। এছাড়াও চর্বি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে। নিয়মিত শরীরচর্চা না করলেও ডাইবেটিস হতে পারে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে শরীরে অধিকহারে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি অনুভব হওয়া, শরীরের ওজন অধিক হারে কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, কোন কাজ করতে করতে অস্বাভাকি ভাবে বিরক্তি বোধ করা, অপ্রীতিকর গন্ধ নাকে অনুভূত হওয়া, পেটে ব্যথা করা এবং বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া,শরীরে যদি কোন ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় তাহলে তা নিরাময় হতে অনেক সময় লেগে যায় এবং ধীরগতিতে নিরাময় হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস হলে আরও যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তা হলো অতিরিক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের প্রবণতা পাওয়া, প্রচন্ড হারে ক্ষুধা অনুভূত হওয়া, তীব্র আকারের পনির তৃষ্ণা পাওয়া যার সাথে সাথে গলা সুকিয়ে যাওয়া, শরীরে অধিকহারে দুর্বলতা অনুভূত হওয়া এবং শরীরে ব্যাথ্যা অনুভূত হওয়া। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোতে ঝিমঝিম অনুভূত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ সৃষ্টি হওয়া, অধিকারে মাথাব্যথা দেখা দেওয়া। শরীরের নানা স্থানে চুলকানি সৃষ্টি হওয়া, প্রচন্ড হারে ক্ষুধা অনুভূত হওয়া, শরীরের ওজন অধিক হারে কমে যাওয়া ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা

যেহেতু ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য নয় তবে এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব। আর এজন্য আমাদের খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী তার ডায়াবেটিস খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের সর্বপ্রথম শরীরের শর্করার যোগান দেয় এ জাতীয় খাদ্যের প্রতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের ভাব স্বল্প পরিমাণে খেতে হবে।

এর কারণ হচ্ছে ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ । তাই আপনি ইচ্ছা করলে ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে পারেন। রুটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও যে খাবার গুলো খেলে ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেই খাবারগুলো পরিহার করায় শ্রেয়। যেমন এক্ষেত্রে আপনি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিনি যুক্ত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়াও অধিক চর্বিযুক্ত খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এই ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য শরীরচর্চা যেমন খুবই উপযোগী তেমনি ভাবে একজন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি কার্যকরী উপায়। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব। শরীর চর্চার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ঘরোয়া উপায় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

ঘরোয়া উপায়ে ডায়াবেটিস কমাতে হলে আপনাকে নিয়মিত পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। তা নিয়ে আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এজন্য বেশি পরিমাণে পানি পান করা খুবই জরুরী। এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য করলা খেতে পারেন। এর কারণ হলো করলা ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘরোয়া উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি দারচিনি খেতে পারেন।

দারচিনি আমাদের রক্তের সুগার লেভেলকে কমিয়ে আনতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফলমূল খেতে হবে। দিনে অন্তত আপনাকে পাঁচ পরিবেশন ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আঙ্গুল খাওয়ার পাশাপাশি একটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই খাবার গুলোর মাঝে শর্করা কেউ চা কিনা শরীরের ভেতরে গ্লুকোজে পরিণত হয়ে থাকে। আর এই গ্লুকোজে আমাদেরশরীরে কোষগুলোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজ আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি ডায়াবেটিস কেন হয়ে থাকে? ডায়াবেটিস রোগ এর লক্ষণ গুলো কি কি? ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সমূহ গুলো কি কি? এছাড়াও ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরো নানা রকম তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে

অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এই ধরনের আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই আশা রেখে শেষ করছি আজ এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *